আন্দোলনে অচল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

লাগাতার আন্দোলনে অচল বঙ্গবন্ধুর নামে নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়
মোঃ রাশিদুল ইসলাম (রাশেদ
বশেমুরবিপ্রবি, প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন যেন একটা
নিত্যদিনের রুটিনে পরিনত হয়েছে।
একের পর এক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সাবেক ভিসি প্রফেসর খন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে
উঠেছিল ক্যাম্পাস।টানা ১৩ দিনের আন্দোলনে অবশেষে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড খন্দকার নাসিরউদ্দিন
পদত্যাগ করলেও এখনো প্রতিদিনই কোন না কোন দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছে।
কখনো একটি নির্দিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা,কখনো বা দৈনিক বেতনভুক্ত কর্মচারিরা।
সে পালে শেষ সংযোজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অফ আইসিটি শিবচর।
মাঝে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে নেপালী ছাত্রীর মানববন্ধন,লাঞ্চনা ও হুমকীর প্রতিবাদে শিক্ষকদের
মানববন্ধন কোন কিছুই যেন বাদ যায়নি বিগত কয়েক মাসে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে পূর্ন মেয়াদে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপাচার্য নেই।
ভারপ্রাপ্ত হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন মাফিক দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড শাহজাহান।
ফলে চাইলেও প্রশাসনিক জটিলতায় অনেক সমস্যারই সমাধান করতে পারছেন না।
ফলে ক্রমশই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে।
ফলে ব্যাহত হচ্ছে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ।
প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রদান ফটক হয়ে
উঠছে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই বিভাগ কে ইইই বিভাগের একীভূতকরনের দাবিতে টানা ৯৫ দিন আমরন কর্মসূচি পালন
করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই বিভাগ।
শেষমেশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আর আশ্বাসে সে আন্দোলন থামলেও থেমে নেই ইতিহাস বিভাগের
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।
সাবেক ভিসি প্রফেসর ড খন্দকার নাসিরউদ্দিন ২০১৭ সালে ইউজিসির অনুমোদন না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে
ইতিহাস বিভাগ চালু করে।
বর্তমানে ইতিহাস বিভাগে তিনটি ব্যাচের প্রায় ৪১৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি আছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির এক সাধারন সভায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি তিনটি ব্যাচকে মৌখিক অনুমোদন দেয়।
পাশাপাশি পরবর্তী ব্যাচ থেকে যেন আর শিক্ষার্থী ভর্তি করা না হয় সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন